পাঁচ বছর পর্যন্ত ঘুমের সময় শিশুরা সাধারণত গায়ে কাঁথা-কম্বল রাখতে চায় না। সব মায়েরাই মোটামুটি এমন অবস্থার মুখোমুখি হয়েছেন। শীতের মৌসুমে বিশেষ করে যখন রাতে বাইরে কনকনে বাতাস থাকে, তখন শিশুদের শরীরের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ করা সত্যিই কঠিন। কখনও এতে করে তারা কাশি, সর্দি ও ফ্লুতে আক্রান্ত হয়, পরিস্থিতি হতে পারে আরও ঝুঁকিপূর্ণ। শীতকালে, বিশেষ করে রাতে আপনার শিশুর শরীরের তাপমাত্রা সামঞ্জস্যপূর্ণ রাখতে কী করবেন সে সম্পর্কে আপনার ধারণা থাকা খুব গুরুত্বপূর্ণ। শীতের রাতে আপনার শিশুকে উষ্ণ ও আরামদায়ক রাখতে কী করা উচিত জেনে রাখুন।

১. শিশুকে সঠিক পোশাক পরান
শীতকালে ঘুমের সময় শিশুকে উষ্ণ রাখার সর্বোত্তম উপায় হলো তাকে সহজে পরা যায় ও খোলা যায় এমন পোশাক পরানো। শিশুকে ভারি বা পশমি কাপড়ের মতো অতিরিক্ত বোঝার পরিবর্তে কয়েকটি পাতলা গরম কাপড় পরান, যাতে ডায়াপার পরিবর্তনের সময় সহজেই খুলে ফেলতে পারেন।

২. ঘরের তাপমাত্রা ঠিক করুন
রুম ১৮ থেকে ২০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে তাপমাত্রায় রাখার চেষ্টা করুন। শিশুর ঘর নিরাপদ, আরামদায়ক তাপমাত্রায় আছে কি না তা পরীক্ষা করতে রুম থার্মোমিটার ব্যবহার করতে পারেন।

৩. শিশুর মাথা ও হাত-পা ঢেকে রাখুন
শিশুরা তাদের মাথা ও হাত-পা দিয়ে প্রচুর তাপ হারায়, তাই শিশুকে উষ্ণ রাখতে, মাথা কান ঢাকা নরম ক্যাপ এবং হালকা হাতমোজা, পা-মোজা ব্যবহার করতে পারেন। এতে করে শিশু কাঁথা-কম্বলের নিচে না থাকলে শরীর উষ্ণ থাকবে।

৪. রম্পাজ, জাম্পস্যুটস বা ওয়ানজিজ ব্যবহার করুন
শিশুর ঘুমের জন্য রম্পাজ, জাম্পস্যুটস বা ওয়ানজিজ ব্যবহার করতে পারেন। স্লিপিং ব্যাগ বা পরিধানযোগ্য কম্বলও ব্যবহার করতে পারেন।

৫. শিশুকে বাতাস থেকে দূরে রাখুন
শিশু ঘুমের সময় কতোটা আরাম বোধ করবে তা অনেকটা নির্ভর করে রুমে শিশুর ঘুমানোর জায়গাটা কোথায় ও কেমন তার ওপর। তাই ঘরে ঠান্ডা বাতাস যাতে ঢুকতে না পারে সেজন্য জানালা ও দরজা বন্ধ রাখুন।

৬. ভালো তোশক বা ম্যাট্রেস ব্যবহার করুন
শিশুকে উষ্ণ রাখতে ভালো কাপড়ের তোশক বা দৃঢ় জাজিম বা ওয়াটারপ্রুফ ম্যাট্রেস ব্যবহার করুন।

৭. শিশুর বিছানা শুষ্ক রাখুন
শিশুর ঘুমানোর জায়গা দোলনা বা বিছানা সব সময় শুষ্ক রাখুন। প্রায় প্রতিদিন রোদ উঠলেই চাদর, লেপ-তোশক, বালিশ শুকাতে দিন। রোদে দিতে না পারলে শিশু ঘুমানোর অন্তত ৩০ মিনিট আগে ক্রিব শিটের উপর গরম পানির বোতল বা হিটিং প্যাড রাখতে পারেন বা আয়রন দিয়ে হিট করে নিতে পারেন।